প্যরানরমাল কিছু কি আছে?

ভূত বা আত্মার অবস্থান পৃথীবিতে আছে কি নেই এ নিয়ে আলোচনা বা তর্কের সূচনা সেই প্রাচীনকাল থেকে। মানুষের মাঝে এ রহস্যের সমাধান করা বা পাওয়া দুটোই কঠিন। মানুষ চিরন্তন আগ্রহ নিয়ে এর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করলেও তার ফলাফল বরাবর শূণ্য। বিজ্ঞান ও এ বিষয়ে তেমন নির্ভরযোগ্য যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি আজো।

ভূতঃ সাধারণ অর্থে অস্বাভাবিক বা স্বাভাবিক মৃত্যুর পরে সে মানুষের আত্মার পরিভ্রমণের কল্পচিত্র ভূত বলে পরিচিত।


ইংরেজিতে ঘোস্ট শব্দটির প্রাচীন ইংরেজির গাস্ট থেকে উদ্ধৃত। ল্যাটিনে ‘স্পিরিটাস’ শব্দটির অর্থ হলো শ্বাস বা জোরে বাতাস ত্যাগ করা। এমন নানান ব্যাখ্যা রয়েছে। বিভিন্ন ভাষায়, সেই আদিকাল থেকেই। প্রাচ্যের অনেক ধর্মে ভূতের উল্লেখ আছে। যেমন হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বেদ-এ ভূতের কথা উল্লেখ আছে। হিব্রু তাওরাত ও বাইবেলেও ভূতের উল্লেখ আছে। উনিশ শতকে ‘ক্রিসমাস ক্যারল’ বইতে লেখক চার্লস ডিকেন্স ভূত এনেছিলেন। ভূতদের নিয়ে নানান লৌকিক কাহিনী ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত।

নিম্নে নির্ভরযোগ্য তথ্য সমেত কিছু ছবি ও তাদের রহস্যময় গল্প পাবেনঃ



ভালো করে তাকালে দেখা যাবে ড্রাইভারের পেছন সিটে একজন চশমা পরা মানুষ বসে আছে। কিন্তু বাস্তবে এই মানুষটির অস্তিত্বই ছিল না। ঘটনাটা সেই ১৯৫৯ সালের। ম্যাবেল চিনারি নামের এক মহিলা  সমাধিশালায় সমাহিত তার মায়ের কবর পরিদর্শনে আসেন। সঙ্গে তার স্বামী। মহিলা গোরস্থানে থাকা অবস্থায় তার স্বামী গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল। ফিরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে মিসেস চিনারি তার সদ্য কেনা ক্যামেরা দিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা তার স্বামীর একটি ছবি তোলেন। ছবিটি ডেভেলপ করার পর দেখা গেল গাড়ির ভিতর কেবল তার স্বামী একা ছিলেন না। পেছনের সিটে একজন লোককে। স্বয়ং চিনারির মা বসে আছেন!

লাল তীর চিহ্নিত আবছা ছবিটি আরেক বিস্ময়। কারণ নেইল স্যান্ডব্যাচ নামের এক ফটোগ্রাফার যখন এই ছবিটি তোলেন, তখন এই চরিত্রটি তার পটভূমিতে ছিলই না। ফটোগ্রাফার তখন কেবল একটি খামারের ছবি তুলছিলেন। উদ্দেশ্যহীনভাবেই নিজের নতুন ক্যামেরায় ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ার অঞ্চলের একটি খামারের কয়েকটি ছবি তুলছিলেন তিনি। ছবি তোলার সময় খেয়াল না করলেও পরে তিনি লক্ষ্য করেন যে ছবির মধ্যে একটি ছেলেকে দেখা যাচ্ছে। যে একটি অন্ধকার দেয়ালের পাশ থেকে উঁকি দিচ্ছে। এই বালকের ছবি এলো কোত্থেকে? খামারের মালিক জানান এই ভূতকে এর আগেও দেখা গেছে!

এই ছবিটি তুলেছেন ডেনিস রাসেল নামের একজন লোক। ছবিটি তোলা হয় ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট। আর ছবির মহিলাটি তার দাদি। যার মৃত্যুর অল্প কিছুদিন আগে তোলা হয়। বার্ধক্যজনিত কারণে স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয় মহিলার। দাদির স্মৃতি হিসেবে তার ছবিটি সংগ্রহ করে রাখেন ডেনিস। তখনো কেউ ছবিটির পেছনের লোকটিকে খেয়াল করেনি। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দাদির পেছনে একজন পুরুষ মানুষের মাথা উঁকি দিচ্ছে। যে পেছনের ব্যক্তিটি হুবহু তাদের দাদার মতো। দাদার সাদাকালো ছবি দেখে তারা নিশ্চিন্ত হন যে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি আসলেই তাদের মৃত দাদা।


এই ছবিটি ১৯৮৭ সালের। ইংল্যান্ডের সমারসেটে অবস্থিত ইয়েলভারটনের ফ্লিট এয়ার আর্ম স্টেশনে তোলা হয়েছিল এই ছবিটি। মিসেস সেয়ার ও তার বন্ধুরা সেবার ইয়েলভারটনের ফ্লিট এয়ার আর্ম স্টেশনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেয়ারের বন্ধুরা তাকে বললেন হেলিকপ্টারের পাইলটের সিটে বসে একটি ছবি তুলতে। ছবি তোলার পর দেখা গেল ছবিতে সেয়ারের পাশের আসনে সাদা শার্ট পরা একজন ব্যক্তিকে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে! অথচ তখন সেয়ার ছাড়া তার পাশে আর কেউই ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই কপ্টারের পাইলট যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন। কে জানে তার আত্মাই হয়তো বসেছিল!


এই ছবিটিতে সাদা একটি মূর্তিকে একজনের পেছনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে ডিয়ান ও পিটার বার্থেলোট তাদের ১২ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে নরফকের ওর্স্টিড গির্জায় গেলেন। ডিয়ানের প্রার্থনারত এ ছবিটি  তোলেন পিটার। কয়েক মাস পর তারা ছবিটি খেয়াল করে দেখলেন, ডিয়ানের পেছনে কোনো একটি সাদা ছায়া মূর্তি দেখা যাচ্ছে। গির্জার রেভারেন্ড পেটিট ছবিটি দেখে বলেন, সাদা ছায়া মূর্তিটি একজন মহিলার। গির্জায় আগত কোনো প্রার্থনাকারী যদি আগে থেকেই অসুস্থ থাকেন তবে তাদের কিছুটা প্রশান্তি প্রদান করার ব্যাপারে সহযোগিতা করে এই বিদেহী আত্মা।


এই ছবিটি ১৯৪৭ সালে তোলা।  মিসেস এন্ড্রু নামের একজন মহিলা গিয়ে ছিলেন তার মেয়ের কবর দেখতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের একটি গোরস্থানে। মিসেস এন্ড্রু  তার মৃত কন্যার কবরের একটি ছবি তোলেন। ছবিটি তোলার আগের বছর মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার মেয়ে মারা যায়। ছবিটি ডেভেলপ হয়ে আসার পর দেখা গেল একটি বাচ্চা তার মেয়ের কবরের ওপরে বসে আছে। মিসেস এন্ড্রুর মতে তিনি যেদিন এই ছবি তুলেছিলেন তার ধারে কাছে কোনো বাচ্চা ছিল না। এমনকি এই বাচ্চা ছোট বেলায় তার মেয়ের মতো দেখতেও নয়। তাহলে এই বাচ্চা কার? সে রহস্য কেউ জানে না।


এই ছবিটি অনেক আলোচিত একটি ছবি। এটি তোলা হয় ১৯১৯ সালে। আর এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। সে বছর রয়েল এয়ার ফোর্সের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্যার ভিক্টর গডার্ড এটি জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। ছবিটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় দাইদালুস ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিতে তোলা। ছবিতে সবার উপরে বাম পাশ থেকে চতুর্থ যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তার নাম ফ্রেডি জ্যাকসন। তিনি ছিলেন একজন এয়ার মেকানিক, যিনি বিমানের প্রপেলারের আঘাতে দুর্ঘটনাক্রমে মারা যান। ছবিটি ফ্রেডির শেষকৃত্যানুষ্ঠানের দিন তোলা হয়। পরে দেখা যায়, সে স্মরণ অনুষ্ঠানের দিন তোলা ছবিতে মৃত ফ্রেডিও উপস্থিত!


এই ছবিটি ১৯৬৬ সালে তোলা। রালফ হার্জ নামের এক লোক ইংল্যান্ডের গ্রিনিসে অবস্থিত কুইন্স হাউস ন্যাশনাল ম্যারিটাইম মিউজিয়ামে অবস্থিত টিউলিপ সিঁড়ি নামের একটি প্যাঁচানো সিঁড়ির ছবি তোলেন। তখনই সেখানে ধরা পড়ে অশরীরী কিছু একটা সিঁড়ির ভিতর মাথা গুঁজে দাঁড়ানো। পরবর্তীতে ছবিটির নেগেটিভ নানাভাবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে এটা বের করার জন্য যে, এটি কোনো অসাধু উপায়ে বানানো হয়েছে কিনা? কিন্তু সবাই একই মতামত দিয়েছেন যে, নেগেটিভটি ১০০% ঠিক আছে। তার চেয়েও বড় কথা কুইন্স হাউস আসলেই একটি ভৌতিক বাড়ি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়।
সংগৃহীত ছবি ও ঘটনাঃ  বাংলাদেশ প্রতিদিন।

উপরের সকল তথ্য আপনার কাছে যে বিষয়টির প্রমাণ দেই তার নাম প্যারানরমাল (অস্বাভাবিক আচরণ)।
প্যারানরমাল বিষয়টি বিশ্বব্যাপী নির্ভরযোগ্যতা পেলেও ভূত নামক আলোচনা এখনো তর্কের ভাবমাত্র।




Comments

Popular posts from this blog

চল দলবল

গুলিয়াখালি সী বীচ গাইড