Posts

দখলে ফুটপাত

Image
চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর সংলগ্ন এলাকা এলুমিনিয়াম কাম ক্রোকারিজ এর এক রমরমা বাজার। আর সে বাজার এতটাই রমরমা যে তাদের বিক্রয় সামগ্রী দোকান থেকে ফুটপাতে এসে ঠেকে। মির্জারপুল পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশে বিস্তৃত এই মার্কেটের প্রায় প্রতিটি দোকানের বিক্রয়ের জিনিসপত্র স্তুপ করে রাখা হয় হাটা-চলাচলের পথ ফুটপাতে। যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আনুমানিক যদি একটি ফুটপাত আড়াআড়ি ভাবে ১০ পা সমান হই। সেই ফুটপাতের ৭-৮ পা তাদের দখলে থাকে। আর বাকি ২-৩ পা জায়গা মানুষ চলাচলের জন্য মোটেও উপযোগী না। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে বিষয়টির ব্যাপারে কথা বলতে হবে মালিক সমিতির সাথে। মালিক সমিতির অনুমতিতেই নাকি এমন  # ফুটপাত_দখল  করে ব্যবসা করার সাহস জন্মায় তাদের মাঝে। এমনটাই বলেছেন স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী। অনিয়মের জন্য যখন জনগণ দায়ী, তখন রাষ্ট্র সে ব্যাপারে কখনোই শুধরাতে পারবেনা। কারণ, রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব না প্রতিজন মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন করা। তবুও, যেটুকু পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা আইন শৃংখলা বাহিনীর বা ক্ষমতাধর নেতা বর্গের কাছে রয়েছে । আশা করবো আপনারা এমন অনিয়ম থেকে দেশকে রক্ষা করতে তার প্রয়োগ করবেন। ধন্যবাদ।

উচ্চ মাধ্যমিক/ এইচ এস সি ভাই বোনেরা

Image
আপনাদের প্রতি যারা এই কিছুক্ষণ আগে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল হাতে নিয়েছেন। অনেকেই তাদের আশার চেয়ে ভালো কিছু পেয়ে গিয়েছেন। অনেকে ভালো পরীক্ষার বিনিময়ে খারাপ ফলাফল পেয়েছেন। আর অনেকে নিজেদের নাম উত্তীর্ণদের তালিকায় খুঁজে পাননি। হতাশ হবেন না। দেখুন আমার এই কথাটায় আপনাদের কাছে বিষ বিষ লাগবে। কিন্তু, একটু ভেবে দেখুন। যেখানে পৃথিবীর বিখ্যাত সব ব্যক্তিবর্গের মধ্যে প্রায় জনের কাছেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। সেখানে আপনি তো অনেকটা করেছেন। চেষ্টা তো করেছেন। একবার শুধু শান্ত মনে ভেব ে দেখুন। নিজেকে মনে করুন সে বিখ্যাত মানুষদের মধ্যে একজন। আপনিও চাইলে কিছু একটা করতে পারবেন। সত্য কথা বলতে একটা প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট আপনাকে কিছুই দিতে পারবেনা। এখনকার সময়ে তো একমুঠো ভাত ও না। তাইনা? শান্ত মনে চিন্তা করে দেখুন। শুধু ৫মিনিট। এই ৫মিনিটে সকল ফ্রাস্টেশন , ডিপ্রেশন আর যা যা আছে কিছুই নিজের পাশে ঘেষতে দিবেন না। আপনি নিজেই এবার নিজেকে উৎসাহ দিবেন। ভেবে দেখুন,একটা প্রতিষ্ঠান মাত্র আপনাকে রিজেক্ট করেছে। পৃথিবী তো আপনাকে রিজেক্ট করেনি। তাহলে আপনি নিজের খুশীতে পৃথিবীতে বাচুন। নিজেকে প্রমাণ করুন

অনিয়মে তুমি

Image
সবেমাত্র ভোর ৬টা। এ সময়ে ঘুম ভেঙে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক নয়। গোয়েন্দাগিরি চড়াতে গেলে দুটো কারণ রাজ পাই। হয়তো সিগারেটের তীব্র তৃষ্ণা, কিংবা বুকে মাঝারি একটা স্নিগ্ধ অনুভূতি। যেটা মাঝে মাঝে শুধু তোমার জন্যই জানান দেই। তুমি সম্পর্কে পুরো পৃথিবী এখনো অজ্ঞাত। তাই তোমার একখানা ছবিটাও খুব যত্নে রেখেছি। এক শলা সিগারেট ধরালাম। "জন প্লেয়ার"। এই একটা মাত্র জিনিস এখনকার কম দামে ভালো কিছু। হিসেবের দিক থেকে আমাকে আপোষ করতেই হই। না চাইলেও হই। যেমন, চাইলেও তোমার ছবির ২য় কোনো কপি আজ অবধি বান াতে পারলাম না। সেসব বিষয় বাদ যাক। এ জীবনে তোমাকে পাওয়ার আশা আমি কি করে করি বলো? তুমি যে অনিয়মে আমার সামনে এসে পড়েছো। ঠিক আজ ভোরের মত।।যেখানে দেখবার মত কোনো পথ নেই। তবুও মাঝে মাঝে তোমার ছবিটা দেখি। তোমার মত স্নিগ্ধতা সত্যি বলতে কোনো ফুলে পাইনি আমি। কখনো কুয়াশার জমে থাকা জলেও এসব মেলেনি। যদিও আমি ফুল চিনতে শিখিনি। তেমন কোনো ফুলের নাম জাত ও আমার জানা নেই। তবুও আমি তোমাকে দেখতে শিখেছি। তোমাকে উপলব্ধিতে আমি যথেষ্ট শিক্ষিত। এমন একটা সময় সিগারেটের কমতি মেনে নেওয়া কষ্ট। ছাদ ছেড়ে ঘরে ঢুকলাম। ড্রয়ার টা খু

শয্যা নং ২০১।

জাহিদকে ডাক্তার সাহেব ঘুমের ইঞ্জেকশন প্রয়োগে ঘুম পাড়িয়েছেন। দুদিন যাবত সে এমনিভাবে ঘুমিয়ে আছে। রত্না কে এ বিষয়ে জানানো হই অনেক পরে। এইমাত্র সে কেবিনে ঢুকেছে। বিদঘুটে গন্ধশিক্ত কেবিন। ধুসর সাদা একটা চাদর গায়ে দেওয়া জাহিদের। রত্না কয়েকবার জাহিদের নাম ধরে ডেকেছে। জাহিদের ঘুম ভাঙেনি। পাশের চেয়ারে বসে জাহিদের হাত ধরেছে রত্না। তার কন্ঠ কেপে কেপে উঠছে। সে চাইলেই নাম ধরে এখন আর ডাকতে পারছেনা। তবুও কেপে উঠা কন্ঠে গাইছে- "চলোনা যাই, বসি নিরিবিলিই। দুটি কথা বলি, নিচুগলায়। "

প্যরানরমাল কিছু কি আছে?

Image
ভূত বা আত্মার অবস্থান পৃথীবিতে আছে কি নেই এ নিয়ে আলোচনা বা তর্কের সূচনা সেই প্রাচীনকাল থেকে। মানুষের মাঝে এ রহস্যের সমাধান করা বা পাওয়া দুটোই কঠিন। মানুষ চিরন্তন আগ্রহ নিয়ে এর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করলেও তার ফলাফল বরাবর শূণ্য। বিজ্ঞান ও এ বিষয়ে তেমন নির্ভরযোগ্য যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি আজো। ভূতঃ সাধারণ অর্থে অস্বাভাবিক বা স্বাভাবিক মৃত্যুর পরে সে মানুষের আত্মার পরিভ্রমণের কল্পচিত্র ভূত বলে পরিচিত। ইংরেজিতে ঘোস্ট শব্দটির প্রাচীন ইংরেজির গাস্ট থেকে উদ্ধৃত। ল্যাটিনে ‘স্পিরিটাস’ শব্দটির অর্থ হলো শ্বাস বা জোরে বাতাস ত্যাগ করা। এমন নানান ব্যাখ্যা রয়েছে। বিভিন্ন ভাষায়, সেই আদিকাল থেকেই। প্রাচ্যের অনেক ধর্মে ভূতের উল্লেখ আছে। যেমন হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বেদ-এ ভূতের কথা উল্লেখ আছে। হিব্রু তাওরাত ও বাইবেলেও ভূতের উল্লেখ আছে। উনিশ শতকে ‘ক্রিসমাস ক্যারল’ বইতে লেখক চার্লস ডিকেন্স ভূত এনেছিলেন। ভূতদের নিয়ে নানান লৌকিক কাহিনী ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত। নিম্নে নির্ভরযোগ্য তথ্য সমেত কিছু ছবি ও তাদের রহস্যময় গল্প পাবেনঃ ভালো করে তাকালে দেখা যাবে ড্রাইভারের পেছ

প্যারানরমাল

Image
রহস্য পিপাষু মানুষের মাঝে প্যারানরমাল শব্দটি অতি পরিচিত শব্দ।  পৃথিবীর যত সংখ্যক মানুষ এসব বিষয়ে বিশ্বাস করেন। ধারণামতে তার সমান সংখ্যক মানুষ এ বিষয়ে অবিশ্বাস করেন।  বিশ্বাস অবিশ্বাসের  পাল্লা মেপেও দেখা যায় এসব বিষয়ে  কারো আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু এসবের অনেক কিছুই মিথ্যা। আবার এমন কিছু বিষয় আছে যা সত্য। প্যারানরমালঃ দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া যে সকল বিষয়ের ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনা, সে সকল বিষয়াদি প্যারানরমাল নামে পরিচিত। যেমনঃ কোনো জিনিসের আপনা আপনি স্থান পরিবর্তন, রূপ পরিবর্তন ইত্যাদি। তবে সাধার|ণত প্যারানরমাল বলতে আমরা ভূত-প্রেত,  জ্বিন-আত্মা, কালযাদু এসব নিয়ে বেশী পরিচিত। প্যারানরমাল বিষয়টির ব্যাখ্যা একেক দৃষ্টিতে একেক রকম আসবে এটা স্বাভাবিক। এর ধার্মিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং সাধারণ বিশ্লেষণ নতুন নতুন প্রশ্ন আর উদ্বেগ এর তৈরি করে। যা রহস্যের ঘোলাটে অধ্যায়।

স্বপ্ন দিবস

Image
তবুও শরৎ এর আকাশ, ভেসে যাওয়া নীল মেঘ তোমার বারান্দায়। ওগো মায়াবী, এসো তুমি বাইরে এসো রেখো পা তুলোর মেঘে। যেমনটা পাবে জড়িয়ে নাও, কখনো মেঘের ভিড়ে স্বচ্ছ শ্বাস কিংবা তোমার মন। যা দেখেনি কখনো নরম কাশফুল ছুঁতে পারেনি জোছনার রঙ। তুমি জড়িয়ে নাও সে আমায়, যেখানে শত বর্ষের জোছনার আলো, নির্জন দ্বীপে বাউলের গান, কিংবা পাবে আমার মন। কখনো ভয় ভেঙে সুউচ্চ শৈলের কিনারায় বসে তুমি শুনতে পাবে কবির ছন্দ। দূরের বাতিঘরের চোখ ফাকি দিয়ে নিয়ে যাবে সিন্দাবাদ সমুদ্রের ওপারে। তোমার খোলা বারান্দায়, রেখো এক সন্ধ্যা শুধু দুজনার। ২৬/০৫/১৮ ইং @আল ইয়াছা ইরফান