সে যে কি অভিমান

দেখো, বিয়ে বাড়ীর কত অজস্র আলো!
আমার জীবনে কি কখনো এমন আলো আসবে!
আমার জীবনে কে দিবে এত আলো? তুমি কি দিবে এত আলো?
- দিবো, তবে এতসব আলো না।
লাগবেনা, অন্ধকারই ভালো
-অন্ধকারেও আমি আছি
আমার অক্ষির শ্বেত মন্ডল তখন তোমার পৃথীবীর সবচেয়ে দামী আলো হবে।
"পৃথিবী" হবে বানান
-তুমি তখন আর বানানের ভুল খুজবেনা
তখন আমার বাহু জড়িয়ে ধরে বলবে।
আমার অত সব আলোর দরকার নেই। এ আলোতে আমি সব দেখতে পাচ্ছি। শত শত হাসি, নির্ভুল নানান স্বপ্ন, আর সবুজ বিছানায় নিবিড় আলিংগন।
এসব স্বপ্ন স্বপ্ন বাস্তব হবে, তবে অন্য কারো সাথে,,,,
বাবা মার পছন্দে নিজের গ্রামের কোনো এক লক্ষী মেয়েকে বিয়ে করে স্বপ্ন সব বাস্তব করবা
-সে তুমি যাই বলো নিলাঞ্জনা,
স্বপ্ন যদি দেখতেই না দাও।
তবে, পূরনের বেলায় তো কিছুই পাবোনা।
আচ্ছা, একটা কথা বলোতো।
ধরো বাবা-মা,
সকলে তোমার জন্য মঞ্জুর।
সবমিলে তুমি ঘরেও এলে,
তখন তোমার স্বপ্নের শত আলো তোমাকে দিতে পারলামনা।
তখন, আমার শ্বেত আলোর ঠিকানা কি তুমি খুঁজবে?
আমি তোমার কাছ থেকে কিছু আশা করিনা,,, এতদিন যাবৎ যা কিছু পেয়ে আসছি সব আমার জন্য বোনাস
তাই শ্বেত আলোর খোঁজও কখনো করবোনা,, আমার অন্ধকার নিয়ে আমি পড়ে থাকবো,,, মেনে নিব এটাই আমার ভাগ্যে লেখা ছিল বা এটাই প্রকৃতি লিখে রেখেছে আমার জন্য
-তা যাই বলো।
মন তোমার ভীষণ খারাপ,
এমন অবেলায় রাগারাগি হলে,মন তো খারাপ হবেই।
তখন খুঁজলে কি আলো মিলে?
মিলে না।
কাছে আসো,
ঐ যে দেখছো
কত তারা ভরা আকাশ।
এই কালো আকাশের মাঝে, কতটা তারা দেখতে পাচ্ছ তুমি?
এসব ভুলভাল আমাকে একদম বুঝাবেনা।

Comments

Popular posts from this blog

শয্যা নং ২০১।

গুলিয়াখালি সী বীচ গাইড

চল দলবল